হাওজা নিউজ এজেন্সি: আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, তুরস্ক, স্লোভেনিয়া, লিথুয়ানিয়া, নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, ইতালি এবং কানাডা—এই আট দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে যে, তারা নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও ফিলিস্তিনি জনগণের গণহত্যার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তারে প্রস্তুত।
এর আগে, ইস্তাম্বুলের প্রসিকিউটর অফিস গাজা উপত্যকায় সংঘটিত গণহত্যার দায়ে ৩৭ জন সন্দেহভাজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, যুদ্ধমন্ত্রী ইসরায়েল কাতজ, এবং সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ এয়াল জামির। তাদের তুরস্কের ভূখণ্ডে প্রবেশ ও দেশটির আকাশসীমা অতিক্রম সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে দক্ষিণ আফ্রিকা আন্তর্জাতিক আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মামলা করে, যেখানে ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইসরায়েলের আচরণকে “গণহত্যা কনভেনশন লঙ্ঘন” হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়।
এর পর থেকে নিকারাগুয়া, কলোম্বিয়া, লিবিয়া, মেক্সিকো, ফিলিস্তিন, স্পেন এবং তুরস্ক—এই দেশগুলো দক্ষিণ আফ্রিকার মামলার সঙ্গে যুক্ত হয়।
এছাড়া, ২০২৪ সালের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (ICC) যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক যুদ্ধমন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল।
আপনার কমেন্ট